কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

কক্সবাজারের উখিয়ার ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আগুনে পুড়েছে কমপক্ষে ৪০০ ঘর।

নিহত শিশু মোহাম্মদ আয়াছ (৩) ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মোহাম্মদ করিমের পুত্র।

মঙ্গলবার (৮ই মার্চ) বিকেল আনুমানিক ৩ টা ৪৫ এর দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিটের প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর কর্তব্যরত কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন।

এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অগ্নিকান্ডের কারণ কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, পরবর্তীতে জানা হবে।”

জানা গেছে, প্রথমে ৫নং ক্যাম্পস্থ মোচড়া বাজার লাগোয়া ডি-১১ ব্লকের একটি শেডে আগুন লাগে। পরে তা পাশ্ববর্তী ডি-৯, ডি-৪ ব্লক সহ তিনটি ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে।

ডি-১১ ব্লকের মাঝি আতার উল্লাহ বলেন, “আমার ব্লকের অধিকাংশই ঘর পুড়ে গেছে। আমাদের এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।”

রোহিঙ্গা নারী সলিমা খাতুন (৩৭) আগুন লাগার সময় ঘরের কাজ করছিলেন। কান্না জড়িত কন্ঠে এই নারী জানান, ” আগুন লাগার সাথে সাথে সন্তান দের নিয়ে বের হয়ে আসি, আমার কিছু নেই সব পুড়ে গেছে।”

এই অগ্নিকান্ড নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের বরাতে শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ” “সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ” জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলের আগুনে ৪ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। কমপক্ষে ১ হাজার রোহিঙ্গা শিশু বাস্তুহারা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

চলতি বছরে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটি পঞ্চম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ২ জানুয়ারি ২০ এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে আগুন
লাগে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাসপাতালটির ৭০ শয্যা।

একই মাসের ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা।

এরপর ১৭ জানুয়ারি, উখিয়ার কুতুপালং ৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মধ্যরাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুড়ে যায় ত্রিশ ঘর। সর্বশেষ গতমাসে (২৫ ফেব্রুয়ারি) বালুখালী ৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন) এর চেকপোস্ট সংলগ্ন রোহিঙ্গা বসতিতে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায় ৩৫ টি ঘর ও দোকান।

পাঠকের মতামত: